আজকের গল্পটি ঠিক মামাতো বোন কে নিয়ে লেখা
❤❤❤ মামাতো বোন 🖤🖤🖤
____________ পর্ব -১_____________
-I Love You.
পুকুর পাড়ে গাছের ডালে বসে ফোনে গেইমস খেলছিলাম।হঠাৎ কথাটা শুনে পিছনে তাকালাম।
-ওহ আপনি।
-কেন অন্য কেউ আসার কথা ছিল নাকি?😊😂
-না হঠাৎ করে আসলেন তো তাই।😶
-হুম জানি। ফারিয়াকে হ্যাঁ বলে দিয়েছিস তাই না?😞
-ক...কোন ফারিয়া?😱😱
-তা মশাই কইটা ফারিয়া আপনাকে প্রপোজ করছিল শুনি?😊😊
(এটা মুন জানলো কেমনে।এখন আমায় জ্বালিয়ে মারবে)
-ম...মানে?😳
-কিছু বুজছিস না এখন?ঢং😡
-আপনি কিভাবে জানলেন?😱
-সবকিছু open ভাবে করলে সবাই দেখবে।😂
-সব দেখে ফেলেছেন আপনি?
-হুম।
-সব কিছু।
-হুহ।
-তাহলে আমার ans টাও শুনেছিলেন।😂
-না দূর থেকে কিছুই শুনা যায়নি।😧
-ওওও
-হুম।বললি না যে?
-কি?
-ফারিয়াকে কি বললি।
-কি বলা উচিৎ?
-হ্যাঁ বলে দিতি।মেয়েটাও তো সুন্দর আর তোর সাথে মানাবেও।😧😧
-ওও আচ্ছা।
-হুম। কি বলেছিস বল না।😧
-কি বললে খুশি হতেন?
-আমি খুশি হবো মানে কি?তুই লাইন মারবি তুই ভালো বুঝবি।😡
-তাই? না বলে দিয়েছি।😂
-এই যাহহ।১৪ নং টাও গেলো।😱😮
-হুম। আপনি গুনতেই থাকুন।😂
-আচ্ছা বল তো, তোর কি রকম মেয়ে পছন্দ? এতো গুলো মেয়ে proposed করলো।কারো সাথে প্রেম করলি না?😯😯
-সময় আসুক⌚।করবো ঠিকই।
-সেই সময়টা কবে আসবে তা বলা যাবে?😊
-হুম।কেন নয়।
-তা কবে শুনি।
-যেদিন আপনি আমার সাথে প্রেম করতে রাজি হবেন।😂😂
-ওও তাই।😮
-হুম তাই।😂
-শয়তান ছেলে, বান্দর দাড়া তোকে মজা দেখাচ্ছি।
বলে দিলো দাবড়ানি।আমি দিলাম ভো দৌড়।😂😂আমারে পায় কে।এই সুযোগে পরিচয় টা দিয়ে নিই।আমি আশিক।বাবামায়ের একমাত্র বাদর পোলা।আর ও আমার মামাতো বোন "Monalisa Akter Moon"।
আমার নানুর তিন ছেলে ও এক মেয়ে। আমার আম্মু বড় আর মুন হচ্ছে বড় মামার একমাত্র মেয়ে।মেজ মামার ও এক মেয়ে।ওর বয়স ৬। নাম মিশু।আর ছোটমামা ২ বছর আগে বিয়ে করেছে। এখন কেউ হয়নি। তবে আসতে চলেছে।😂😂মামি pregnant.ছোট মামা আমার থেকে মাত্র কয়েক বছরের বড়। তাই মামার সাথে খুব ক্লোজ। 😂😂
এই বাসায় আমি একমাত্র ছেলে বিধায় আমার আদর অনেক। আমাদের বাসা নানুর বাসার সাথেই। আমি ছোট থেকেই এখানে আছি। আর আমার খেলার সাথী ছিল মুন।
একসাথে বড় হয়েছি। মুন আমার ৪ মাস ২১ দিনের ছোট।
.
.
দৌড়ানি খেয়ে বাসার গেইট এর কাছে আসতেই ভিতরটা মোচড় দিয়ে উঠল😞। হাত থেকে ফোনটা 📱পড়ে গেল। অজানা একটা ভয়😐😧 হতে লাগল। কেন এমন হচ্ছে বুঝতেও পারলাম না।দাড়িয়ে রইলাম ওখানে। মুন এসে দেখল আমি হঠাৎ দাড়িয়ে পড়লাম,আর ফোনটা নিচে পড়ে আছে।
-কিরে এভাবে স্টাচ্যু হয়ে দাড়িয়ে পড়লি কেন?
(ফোনটা তুলতে তুলতে)
-মুন বাবা-মা কোথাও?😧😧
-ফুফু তো ফুফার সাথে গেছে।কি যেন কাজ আছে। তুই এভাবে দাড়িয়ে আছিস কেন?😱
-কতক্ষণ আগে গেছে?
-এই তো ১০ টার পরপরই। এখন তো ২টা বাজে।কিন্তু তুই এমন করছিস কেন?কি হইছে তোর?😨
-কিছু শুনতে পারছেন?
-কি?😱
-এম্বুলেন্স এর আওয়াজ।🚑🚑
-হ্যাঁ তাতে কি?😱
-আমার কেমন যেন হচ্ছে।কারো বিপদ হলো না তো?😢
-আরে বাবা হয়তো অন্য কোন দিকে যাবে। এমন করছিস কেন?খুব খারাপ লাগছে?😦😥
-না। আমার মনে হয় এখানে আসছে।😥😥
-কি হয়ছে তোর?এমন করছিস কেন?চল ভিতরে চল।😟😟
মুন জোড় করে নিয়ে যাচ্ছে।কিন্তু আমার ভিতরে অজানা ভয় নাড়া দিচ্ছে।এমন কেন মনে হচ্ছে আমার।আম্মু আব্বু ঠিক আছে তো?
-আ...আ..আমার ফোন টা..।(আমি)
-এই নে।(মুন)
তাড়াহুড়ো করে আম্মুর নাম্বার বের করে আম্মুকে ফোন দিতে লাগলাম।
ফোন off বলছে। কয়েকবার দিলাম তখন ও phone switch off .ভয় আরো বাড়তেই লাগলো।আর Ambulance 🚑 এর শব্দ কাছে আসতেই লাগল।
-মুন আম্মুর ফোন বন্ধ বলছে।📞
-আরে বাবা কান্না করছিস কেন?কিচ্ছু হয়নি।charge শেষ হয়তো।
-আব্বুর ফোন ও বন্ধ।😥😥
মুন কিছু বলতে পারছে না।হয়তো আমার কান্না 😭😭দেখে।এই প্রথম আমার চোখে পানি আসলো।কেন আমিও জানি না। এদিকে ambulance 🚑 এর শব্দ কাছে আসতেই লাগল।
-বলছিলাম না এদিকে আসছে।😭😭
-শান্ত হ।কিচ্ছু হয়নি।অন্য কোথা.......
বলতে না বলতে বাসার ভিতর।ভয় আরও বাড়তে লাগলো। বুকের ভিতর চিনচিন ব্যাথা করছে।মনে হচ্ছে কিছু হারিয়ে ফেললাম।
-মুন দেখ এখানে আসছে। বলনা কেন? কার কি হয়েছে?😭😭
-.......(চুপ করে আছে)১
Ambulance 🚑🚑 এর শব্দে সবাই বেড়িয়ে আসল। কেউ বুঝতে পারছেনা কি হয়ছে। যত কাছে আসতে লাগলো ততো চিনচিন ব্যাথা বাড়িতেই লাগল। আমি দৌড়ে গেলাম 🚑 Ambulance এর কাছে। ভিতর থেকে ২টি সাদা কাপড়ে মোড়ানো লাশ বের করতে লাগলো। এটা দেখে আমি পাথর হয়ে গেলাম। লাশ গুলো আমার সামনে রাখলো। ব্যাথা যেন বাড়তেই লাগলো।আস্তে আস্তে লাশ থেকে কাপড় সরিয়ে দিয়ে চিৎকার করে উঠলাম।কারণ লাশটি ছিল আম্মুর।😭😭 অপর টি আব্বুর। কান্না করতে করতে আম্মুকে জড়িয়ে ধরলাম।
-আম্মু কি হয়েছে তোমার?উঠোনা আম্মু। ওই আম্মু উঠো।কথা বলবে না আমার সাথে?দেখ আমি তোমার ছেলে।দেখ চোখ খুলো আম্মু। ও আব্বু আব্বু, কথা বলো না কেন আব্বু। দেখো তোমার আশিক দেখো না আব্বু। আমি আর বাঁদরামো করবো না। আমি আর কাউকে জ্বালাবো না। উঠো না আব্বু। কথা বলো আব্বু।আমার সাথে রাগ করছো। এই দেখো কান ধরে আছি। প্লিজ আব্বু কথা বলো। ঐ আম্মু ওঠো না। আম্মু কথা বলো প্লিজ। আমি আর বাঁদরামো করবো না। আম্মু উঠো না। তুমি কথা না বললে যে আমার কষ্ট হয়। তুমি খাইয়ে দিলে যে আমি খাইতে পারি না। আম্মু উঠো না। তুমি আমায় বকবে না।দেখো আমি কাঁদছি।😭😭 তুমি না আমায় কাঁদতে দিতে না।দেখো আম্মু আমি কাঁদছি। ঐ আম্মু উঠো না। আমার সাথে কথা বলছো না কেন? প্লিজ কথা বলো। আব্বু তুমিও চুপ করে আছ?তুমি না আমায় বলতে আমি কোন কাজ ঠিক ভাবে করিনা। আব্বু আজ থেকে সব কাজ করবো।তোমার সব কথা শুনবো প্লিজ চুপ করে থেকো না। কথা বলো আব্বু।তোমাদের সব কথা শুনবো উঠো আব্বু। আম্মু তুমি তো জানোই তোমাকে ছাড়া আমার কিছু ভালো লাগে না।তোমাকে ছাড়া আমি কিছুই করি না। আম্মু তুমি তো বলতে আমি অগোছালো থাকি। তুমি তো সব গুছিয়ে দিতে। তুমি কথা না বললে কে আমায় তোমার মতো করে বকবে।কে আমায় গুছিয়ে দিবে। ঐ আম্মু বলো না কে তোমার মতো এতো ভালো বাসবে।কথা বলো আম্মু।চোখ খুলো আম্মু,
কথা বলোনা কেন আম্মু। এই দেখো তোমার ছেলে কাঁদছে। কথা বলো আম্মু।আব্বু তুমিও চুপ করে আছো?কথা বলবে না আমার সাথে। বকবে না আমাকে। আব্বু কথা বলো।😭😭😭😭😭
-আশিক ওরা আর কথা বলবে না।(নানি কাঁদতে কাঁদতে)😭
-না....আমার সাথে কথা বলতেই হবে। দেখনা নানু আব্বু আম্মু আমার সাথে রাগ করেছে। 😭তু...তুমি ওদের বলোনা কথা বলতে। আমার সাথে রাগ করে না থাকতে। আমি সব কথায় শুনবো।আর কাউকে কিচ্ছু করা লাগবে না। আমিই সব কাজ করবো। তোমাকে আর কাজ করে দিতে হবে না। কথা বলো না আম্মু। উঠো আম্মু। 😭😭
-বাবা ওরা আর বেঁচে নেই।আর উঠবে না।(বড় মামা)😭
-না মামা আমাকে ছেড়ে কোথাও যাবে না। আমি কোথাও যেতে দিবো না।😭😭
-আশিক বাবা ওরা তোকে ছেড়ে চলে গেছে না ফেরার দেশে। শান্ত হ বাবা। বুঝতে চেষ্টা কর😭😭।(মামি)
-মামি তুমিও বলছো? তুমি জানো না আম্মু আব্বু কে ছেড়ে থাকতে পারবো না। আমার আম্মু কে বলো না মামি উঠতে।😭😭
-আশিক.....(ছোট মামা)
-মামা তোমাকে তো আম্মু ভালোবাসতো।তুমি ডাকোনা আম্মুকে। 😭😭প্লিজ মামা বলোনা আমার সাথে কথা বলতে।আমার সাথে কথা বলতে বলো না মামা। দেখো না আব্বুও কথা বলছে না।ত..... তুমি ডেকে দাও না মামা।😭
-ওরা আর উঠবে না। তোকে ছেড়ে চলে গেছে। কাঁদিস না।তোকে বুঝতে হবে। তুই কাঁদলে যে ওরা কষ্ট পাবে।😭
-মামা তুমি অন্তত বলোনা আমাকে ছেড়ে গেছে। তুমি তো জানোই আমি আম্মুকে ছাড়া একা থাকতে পারি না।😭😭
আম্মু উঠো না কেন?আর কত কাঁদাবে আমায়।তুমি তো কখনো কাঁদতে দিতে না।আজ কেন কাঁদাচ্ছ। কেন আমাকে এভাবে কষ্ট দিচ্ছ।😭😭😭
বলতে বলতে জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। জ্ঞান ফিরে দেখিন জানাজা শেষে মাটি দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। দৌড়ে গেলাম।
-আম্মু আব্বুকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছো তোমরা ছেড়ে দাও।কোথাও যেতে দিবোনা।😭😭
-পাগলামো করোনা আশিক। এভাবে ভেঙে পরোনা। তোমার বাবা-মা কষ্ট পাবে। তুমি যদি এমন করো তাহলে চলবে কিভাবে।
নিজেকে বোঝাতে চেষ্টা করো। কান্না করলে কি ফিরে আসবে?তুমি তোমার বাবা-মা কে কষ্ট দিতে পারো না। তুমি কি চাও তোমার বাবা-মা কষ্ট পাক?(কঠোর ভাবে মামা)😡😬
-না মামা। আমি আর কষ্ট দিবো না।তুমি বলোনা আমার সাথে একবার কথা বলতে। বলো না মামা।😭😭
-আবার? 😐তুমি বুঝতে চাইছো না কেন?ওরা মৃত। আর কথা বলবেনা। তোমার উচিৎ কান্না না করে ওদের জন্য দোআ করা। আর ভেঙে পড়োনা। প্লিজ বোঝার চেষ্টা করো।
-.....😭😭😭😭
সত্যি কি আমাকে ছেড়ে চলে গেল?আর কি ফিরে আসবে না।আমি যে আম্মুকে ছাড়া কিছুই করতে পারিনা। কিভাবে থাকবো আম্মু আব্বুকে ছাড়া।
-চলো মাটি দিতে।(মামা)😡
-.......😭😭
-কি হলো?চলো।😠
-.....😭😭
মূর্তির মতো দারিয়ে আছি।কি করবো কিছুই বুঝতে পারছি না।মামা জোর করে নিয়ে গিয়ে দুজনের কবরে মাটি দিয়ে দিলো। আমি শুধু চুপ করেই আছি।নিজেকে বড্ড অসহায় লাগছে।একদিনে এতো বড়ো ধক্কা সামলাতে পারবো না। ভাবতেই পারিনি এভাবে একা ছেড়ে চলে যাবে না ফেরার পথে। আমি যে এখনো বুঝতে পারিনি জীবনের অর্থ কি?এখনো জানিনা বাবা-মা কে ছেড়ে থাকতে পারবো কি-না? আমি তো কোন দিন মাকে ছেড়ে থাকি নি। কি ভাবে থাকবো। আমি পারবোনা। 😭😭এভাবে পারবো না বাবা-মা কে ছেড়ে থাকতে। আম্মু আব্বু তো আমাকে রেখেই চলে গেছে। একবারও ভাবেনি আমি থাকতে পারবো কি-না।😭😭😭
-বাসায় চল।(মামা)😞
-না আমি আব্বু আম্মুকে ছাড়া যাবো না।😭
-পাগলামি করিস না। চল।😠
-না তোমরা যাও আমও এখানে আম্মুর সাথে থাকবো।😭😭
মামা কথা না বলে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। অনেক বারণ করলাম।শুনলই না।এখন বাসায় গিয়ে সবাই আমাকে বোঝাতে লাগল।আমি তো আম্মু আব্বুকে নিয়ে ভাবছি। এভাবে ছেড়ে যেতে কিভাবে পারলো। আমি যে বড্ড একা হয়ে গেলাম।একবার ও কি মনে হয়নি আমি তাদেরকে ছাড়া থাকতে পারি না। মনে কি হয়নি আম্মুকে ছাড়া খেতে পারি না। কেন চলে গেল। আমাকে একা রেখে কিভাবে পারলো।😭😭 আমি যে বাবা-মাকে ছাড়া অচল। কেন চলে গেলে তোমরা। এভাবে একা করে স্বার্থপরের মতো চলে গেলে কেন। আমাকে নিয়ে গেলা না কেন😭😭 তোমাদের ছাড়া আমার যে এই দুনিয়ায় কেউ নেই।একবারো ভাবলে না।😭😭 আমি কি করবল😭 থাকতে পারবো কি-না? কিছুই ভাবলে না তোমরা।😭😭😭
-সারাদিন তো কেঁদেই কাটালি এবার একটু খেয়ে নে।(নানু)😭
-না আমি আম্মুর কাছে যাবো।😭😭
-একটু খেয়ে নে না বাবা।কেন বুঝছিস না ওরা আর নেই। তোকে এখন শক্ত হতে হবে।(মামি)😥
-আমি আব্বু-আম্মুর কাছে যাবো।😭
-তুই তো জানিসই...😒😒
-বলছি না আমি আব্বু আম্মুর কাছে যাবো।😠😭😭😠
বলেই দৌড়ে চলে গেলাম।আমি যে তাদের ছেড়ে থাকতেই পারবো না।আম্মু আব্বু কি বোঝেনা আমাকে? কিভাবে একা থাকবো।😭
.
.
.
এভাবে কেটে গেলো দুইটা দিন।সবাই অনেক জোড়াজুড়ি করতে লাগলো।বলতে গেলে বাসায় বন্দী অবস্থায় রাখে।সবসময় আমার সাথে কাউকে রাখে,যেন পাগলামি না করি। আমাকে নিয়ে সবাই tension করছে।
-আশিক যা হওয়ার হয়ে গেছে।এখন একটু খেয়েনে না।আর কত দিন এমন করবি?নিজেকে দেখেছিস একবারো?(মুন)😢😡
-.......
-কিরে?একটু খেয়েনে না।😞😞
-ইচ্ছে করছে না এখন।
-প্লিজ এমন করিস না।তুই এমন করলে ফুফু কষ্টকর পাবে।😢😢
-আমি খেতে পারবোনা। আপনি যানতো এখান থেকে।😒😒😞
-দেখ তোর জন্য সবাই কষ্ট পাচ্ছে। এভাবে আর কতো কষ্টে দিবি? সবার দিকে ভেবে একটু স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা কর না প্লিজ।😢😢
-আমি পারবো না।😭
-তোকে পারতেই হবে। আর এমন করিস না।😰খেয়েনে না একটু।
-আপনি খাইছেন?(একটু স্বাভাবিক ভাবে)
-না।তুই খেয়েনে তারপর খাবো।
-আচ্ছা তাহলে আমার সাথে খেতে হবে।
-সত্যি তুই খাবি?(খুশিতে)😱😱
-হুম।😐
-নে হা কর।😯😯
মুন আমাকে খাইয়ে দিতে লাগলো।আমিও খাচ্ছি। হয়তো এটাই শেষ। আর কাউকে কষ্ট দিবো না।😩😨
-আপনিও খেয়ে নেন।
-তুই আগে খা।আমি পরে খাবো
-যদি আমি খাইয়ে দিই?😑
-তুই খাইয়ে দিবি?(অবাক হয়ে।হয়তো ভাবছে কখনো নিজে তুলে খাইনি আজ আবার তাকে খাইয়ে দিতে চাইছে)😱😱😱
-হুম।😦
-আচ্ছা ঠিক আছে।☺☺
আমাকে মুন আর মুনকে আমি খাইয়ে দিতে লাগলাম। হয়তো-বা ভালোবাসার মানুষের থেকে শেষ বারের মতো খাচ্ছি আর সাথে তাকেও খাওয়াচ্ছি।
মুন খুশি হয়ে চলে গেল😯☺।হয়তো ভাবছে সে সার্থক। আমাকে ওই নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে।
.
.
শেষ বারের মতো চলে গেলাম বাবা-মায়ের কবরে। জানিনা কখনো আবার দেখা হবে কিনা।
-আম্মু আব্বু আমাকে ক্ষমা করে দিও। তোমাদের ছেড়ে চলে যাচ্ছি অজানা পথে। জানিনা আবারো আসতে পারবো কি-না।😭😭 তবে ভেবো না ভুলে যাবো। তোমাদের প্রত্যেকটি রাতে আকাশে খুজবো।তোমাদের সাথে কথা বলবো।তোমার চলে এসো প্লিজ।আর রাগ করে থেকো না। এখান থেকে চলে যাবো।আমাকে ক্ষমা করে দিও তোমরা।
ওখানে কিছুক্ষণ বসে কবর জরিয়ে ধরে কাঁদলাম😭😭😭। হয়তো আব্বু আম্মু শুনতে পারছে, হয়তো-বা না।
.
.
রাত প্রায় ১২ টা, বাসাতে গিয়ে ঢুকতে যাবো এমন সময় কে যেন কাঁধে হাত রাখলো। চমকে গেলাম।
-কে?(পিছনে ঘুরে)😑
-আমি।(মুন)
-এখনো ঘুমাননি?😱
-নাহ। কবরে গিয়েছিলি তাই না।😒
-.......(মাথা নিচু করে আছি)😥😥
-প্লিজ আশিক আগের মতো হয়ে যা না😧😧। সবাইকে তো একদিন চলে যেতেই হবে।কেউ আগে কেউ পরে।সবাই তো পরপারে চলে যাবে।😧😧
-হুম।
-এমন পাগলামো করবি না ঠিক আছে।😨(আরও অনেক কথা বললো) বুঝতে পেরেছিস?
-একটু জরিয়ে ধরবে?(আমি)
-কেন?(অবাক হয়ে)😱😱
-প্লিজ।(করুন ভাবে)
-ঠিক আছে।
জরিয়ে ধরলাম মুনকে। এটাই শেষ। নিজের ভালোবাসার মানুষকে ছেড়ে যাওয়ার আগে একটু নিজের করে পেলাম। মুন হয়তো কখনো ভাবতেও পারবে না তাকে কেউ পাগলের মতো ভালোবাসে😍।
-অনেক রাত হয়েছে।এবার চলে যান।(আমি)
-তুই যাবি না?😱
-নাহ।আজকে এখানে থাকবো।😦
-তোকে রেখে যাবো?😨
-হুম আপনি এবার যান।কেউ দেখে ফেললে সমস্যা হতে পারে।😑😐
-কিন্তু...
-প্লিজ।😞😞😶
-ঠিক আছে। কাল সকালে উঠবি।😢
-হুম।
মুন চলে গেল। হ্যাঁ সত্যি সকালে উঠবো। তবে এতোটা সকালে হয়তো কেউ বুঝতেই পারবে না।
.
.
বাসার প্রতিটি কোণায় আব্বু আম্মুর স্মৃতি আছে। এখানেই আমি খেলতাম।এভানেই সব আবদার করতাম। আম্মু জোড় করে খাইয়ে দিতো।বকা দিতো।ঘুম পারিয়ে দিতো।কতো না আনন্দের দিন কেটেছে এই বাসায়।কিন্তু আজ? কষ্টের পাহাড় জমে আছে। কি অদ্ভুত নিয়তির খেলা। ব্যাগ গুছিয়ে নিয়ে আম্মুর রুমে গেলাম।
রুমে ঢুকতেই কান্না 😢😢চলে আসলো। এই রুমে কতো স্মৃতি জরিয়ে আছে আমার। প্রত্যেক কোণায় লাগিয়ে আছে আম্মুর ছোঁয়া। নিজেকে সামলিয়ে না পেরে জোরে চিৎকার দিয়ে উঠলাম😭😭
-আম্মুউউউউউউ।
হঠাৎ দরজায় কেউ knock করল।
-কে..........
.
.
.
To be continue
About Author
0 Response to "গল্প মামাতো বোন পর্ব -১"
Post a Comment